এস আই সুমনঃ মন্তব্য প্রতিবেদন : দু:খিত! আর চুপ থাকতে পারলাম না। মিয়ানমারে দিনের পর দিন যা হচ্ছে তা আর সহ্য করা যায় না। মানবতার বিরুদ্ধে এই লজ্জাষ্কর ঘটনায় কোন বিবেকবান মানুষ চুপ করে থাকতে পারে না। ওদের পরিচয় রোহিঙ্গা বা মুসলমান নয়। সবচেয়ে বড় পরিচয় ওরা মানুষ। ওরা অপরাধী নাকি অন্য কিছু সেটাও আমি দেখবো না। আমাদেরই মতো বেঁচে থাকার অধিকার ছিল ওদের। কিন্তু বর্বর নরপিশাচদের পৈশাচিক নির্যাতন ওদের বাঁচতে দেয়নি। নিরীহ নারী, অবুঝ শিশুরা আর কতটা অপরাধ করেছে? কেন ওদের এভাবে মারা হলো? প্রতিবেশী বাংলাদেশ সরকারের এবার নড়েচড়ে বসা উচিৎ।
আজ কোথায় জাতিসংঘ? কোথায় মুসলিম বিশ্ব? বড় গলায় না অনেকে বলেন, মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই! আজ কোথায় গেল সেই ভাইয়েরা। জগতের দেড় ‘শ কোটি মুসলমান আজ কোথায়? কোথায় OIC? সবাই নীরব। তাহলে কি মিয়ানমারের নরপশুদের কাছেও বিশ্ব বিবেক আজ পরাভূত? কিন্তু কেন? কতিপয় মুসলিম সন্ত্রাসীদের কারনে সভ্য বিবেক কেন গোস্বা করবে? কিছু সন্ত্রাসীর জন্য তো পুরো মানবজাতির লজ্জা হতে পারে না। লজ্জা তখনই হয়, যখন বিবেক সভ্যতা দেখে শুনে চুপ থাকে। আর নয়, এই মুহুর্তেই মিয়ানমারের এই মানুষগুলোর পাশে বিশ্বকে দাঁড়াতে হবে। ওরা অবহেলিত রোহিঙ্গা জাতি গোষ্ঠী। ওদের রোহিঙ্গা মুসলমান পরিচয়ে ছোট্ট গন্ডিতে কেউ আবেগে আবদ্ধ করবেন না। ওদের পাশে দেড়’শ কোটি মুসলমানকে নয়, ৬’শ কোটি মানুষকে দাঁড়াতে আহ্বান করুন। কারন, এতবড় মানবিক বিপর্যয়ে নীরবতা ভঙ্গের জন্য ঘুমন্ত বিশ্ব বিবেককে লাথি মেরে জাগাতে হবে।